নিজস্ব প্রতিবেদক, সিবিএন:
গতবছরের ডিসেম্বরে সার্বিক মূল্যস্ফীতি নভেম্বরের তুলনায় কমে ৯.৪১ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। যা গত আট মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন।
রোববার (১৪ জানুয়ারি) বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিসি) হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
বিবিএস’র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ডিসেম্বরে গ্রাম-শহর নির্বিশেষে খাদ্য মূল্যস্ফীতি কমে ১০ শতাংশের নিচে নেমেছে, তবে খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি কিছুটা বেড়েছে। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে সার্বিক খাদ্য মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৯.৫৮ শতাংশ। নভেম্বরে এই মূল্যস্ফীতি ছিল ১০.৭৬ শতাংশ। গত অক্টোবরে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল ১২.৫৬ শতাংশ, যা গত প্রায় ১২ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।
স্কুল-কলেজে চুক্তিভিত্তিক প্রধান শিক্ষক-অধ্যক্ষ নিয়োগ স্থগিত
বিবিএসের সচিব শাহনাজ আরেফিন বলেন, আগামীতে মূল্যস্ফীতি আরও কমে আসবে। জানুয়ারি মাসে আরও কমবে, কারণ এ মাসে আমন ধান তোলা হচ্ছে।
বিবিএসের তথ্যানুযায়ী, গত অক্টোবর ও নভেম্বরে দেশে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ছিল যথাক্রমে ৯.৯৩ ও ৯.৪৯ শতাংশ। সে হিসেবে ডিসেম্বরে সার্বিক মূল্যস্ফীতি সামান্য কমেছে। তবে এখনও তা সাড়ে ৯ শতাংশের কাছাকাছিই রয়েছে। ডিসেম্বরে গ্রামে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ৯.৪৮ শতাংশ, আর শহরে এটি ৯.১৫ শতাংশ হয়েছে।
শ্বৈত্য প্রবাহ নিয়ে যা বললো আবহাওয়া অধিদপ্তর
মূল্যস্ফীতি হলো এক ধরনের করের মতো, যা ধনী-গরিব নির্বিশেষে সবার ওপর চাপ বাড়ায়। খাদ্য মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমে যাওয়ার অর্থ গরিব ও মধ্যবিত্তের সংসার চালাতে ভোগান্তি সামান্য কমেছে। তবে বাজারে শীতের শাক-সবজিসহ চাল, আটা, চিনি, ডাল, পেঁয়াজ, সয়াবিন তেল এবং আলুসহ বেশ কিছু নিত্যপণ্যের দাম এখনো বাড়তি।
পুরো বিষয়টি একটি উদাহরণ দিয়ে বোঝানো যেতে পারে। যেমন— আপনি ২০২২ সালের ডিসেম্বরে ১০০ টাকায় যত জিনিসপত্র কিনেছেন, ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে ওই টাকা দিয়ে সেই জিনিসপত্র পাবেন না। জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাওয়ায় আপনাকে ১০৯ টাকা ৪১ পয়সা খরচ করতে হবে। এই ৯ টাকা ৪১ পয়সা হলো মূল্যস্ফীতি। গত ডিসেম্বরে মূল্যস্ফীতির হার ছিল এটাই।
বিবিএসের হিসাবে সবশেষ ডিসেম্বরে শহর-গ্রাম নির্বিশেষে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ১০ শতাংশের নিচে নেমেছে। গত মাসে গ্রামে খাদ্য মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৯.৬৬ শতাংশ। তার বিপরীতে শহরে খাদ্য মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৯.৪৬ শতাংশ। অর্থাৎ শহরের তুলনায় গ্রামে খাদ্য মূল্যস্ফীতি বেশি।
অন্যদিকে, গত মাসে দেশে সার্বিক খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি কিছুটা বেড়েছে। ডিসেম্বরে শহর-গ্রাম নির্বিশেষে খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৮.৫২ শতাংশ; যা নভেম্বরে ছিল ৮.১৬ শতাংশ।
বিবিএসের তথ্যানুযায়ী, ডিসেম্বরে শহর ও গ্রামে খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি প্রায় সমান ছিল। গত মাসে খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি গ্রামে ৮.৪১ শতাংশ ও শহরে ৮.৩৯ শতাংশ হয়েছে।
আরো খবর
চট্টগ্রামে আরও ৬ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ
টেকনাফে ইয়াবাসহ বাস জব্দ, আটক-২
তিলে তিলে গড়ে তোলা ৩ ব্যবসায়ীর স্বপ্ন ছাই ১ ঘণ্টায়
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।